শ্রীমঙ্গলে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্নসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

শ্রীমঙ্গলে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্নসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

অরবিন্দ দেব, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :

 

প্রতারণা করে আদাবর থানা আওয়ামীলীগের এক নেতার সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আমেরিকা পালিয়ে যাবার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসিফ চৌধুরী নাঈম বলে জানা গেছে। সে শ্রীমঙ্গল শহরের পূর্ব বিরাহিমপুর কলেজ রোডের বাসিন্দা আজহার চৌধুরীর ছেলে। একই ভাবে ঢাকা আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকার কাজের বুয়াসহ বিভিন্ন সমিতি ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে আরো ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আদাবর থানা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ব্যবসায়ী আব্দুল খালিক শুক্রবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
আব্দুল খালিক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিন বছর আগে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি পরিচয়ে এবং ঢাকায় একই এলাকায় বসবাস করায় নাঈমের সাথে পরিচয় হয়। গত বছর চা পাতার ব্যবসার জন্য সে ঢাকাস্থ আমার মালিকানাধিন একটি দোকান ঘর ভাড়া নেয়।
একই বছর নাঈম চা পাতার ব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য লোন নেয়ার প্রয়োজনে পূবালী ব্যাংক রিং রোড শাখায় চৌধুরী টি হাউজ নামে একটি চলতি হিসাব খুলে। এরপর লোনের জন্য আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজনে নাঈম আমার কাছে অল্পদিনের কথা বলে কয়েক দফায় ১৫ লাখ ৫০ টাকা নেয়। জামানত হিসেবে তিনি ও তার স্ত্রীর নামের সমপরিমান অর্থের ৪টি চেক প্রদান করে।
গত বছরের অক্টোবর মাসে নাঈমের নামে ৫০ লক্ষ টাকা লোন বন্দোবস্ত হয়েছে। এসময় আমি তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে বাসা ছেড়ে চলে গেছে। এক সপ্তাহ পরে নাঈম ফোন করে জানায়, স্ত্রীকে নিয়ে সে আমেরিকায় চলে এসেছি।
আব্দুল খালিক অভিযোগ করেন, সোসাইটিতে থাকা অবস্থায় নাঈম বিভিন্ন এনজিও ও সমবায় সমিতি থেকে ১২ লাখ টাকা লোন নেয়। এসব লোন গ্রহনকালে আমাকে জামিনদার করে।  চা পাতার ব্যবসা করে মুনাফার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন লোকজনদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। মাকসুদা নামে এক কাজের বুয়ার কাছ থেকে নাঈম চেক জামানত রেখে ৬ লক্ষ ও হাসান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নেয়।
আমি জামিনদার হওয়ায় তার কিস্তির টাকা পরিশোধে আমাকে চাপ দেয়া হচ্ছে। অথচ নিজের সাড়ে ১৫ লাখ টাকা হারিয়ে আমি পথে বসেছি।
তিনি বলেন, এনিয়ে আমি নাঈমের শ্রীমঙ্গলে বসবাসরত পিতা ও ভাই রিয়ামকে জানালে তারা এই টাকার দায় দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এসময়আরেক ভুক্তভোগী ঢাকার বাসিন্দা মো. হাসান খাঁন উপস্থিত ছিলেন।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন